স্থানীয় পর্যায়ে উত্তোলিত গ্যাসের জোগান চাহিদার চেয়ে অনেক কম। সরবরাহ সংকটে নির্ভরতা বাড়ছে আমদানিতে। আবার বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে কয়েকটির মজুদ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গ্যাসের সরবরাহ নিয়ে চাপ বাড়ছে পেট্রোবাংলার ওপর। এ পরিস্থিতিতে খনন ও সংস্কারের (ওয়ার্কওভার) মাধ্যমে পরিত্যক্ত গ্যাসকূপগুলোকে উত্তোলনে ফিরিয়ে আনায় মনোযোগ দিয়েছে সংস্থাটি। এ বিষয়ে গঠিত পেট্রোবাংলার এক কমিটির সমীক্ষা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, দেশের বিভিন্ন গ্যাস ক্ষেত্রের আওতাধীন অন্তত ৯৮টি কূপ এখন পরিত্যক্ত ও সাময়িক বন্ধ অবস্থায় রয়েছে। যথাযথ সংস্কারের মাধ্যমে কূপগুলো থেকে নতুন করে দৈনিক ২২০-২৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া সম্ভব। দেশের বৃহৎ গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর মজুদ এরই মধ্যে অনেকটাই ফুরিয়ে এসেছে। এর অন্যতম মার্কিন প্রতিষ্ঠান শেভরনের পরিচালনাধীন বিবিয়ানা গ্যাস ক্ষেত্র। জাতীয় গ্রিডে গ্যাসের স্থানীয় জোগানের ৩৯ শতাংশ সরবরাহ হচ্ছে বিবিয়ানা থেকে। পেট্রোবাংলার ২পি রিজার্ভ এস্টিমেশন (উত্তোলনযোগ্য গ্যাসের মোট আবিষ্কৃত ও সম্ভাব্য মজুদ) অনুযায়ী, ক্ষেত্রটিতে গ্যাসের মজুদ ফুরিয়েছে তিন মাস আগেই। সংস্থাটি এখানে গ্যাসের মজুদ হিসাব করেছিল ৫ হাজার ৭৫৫ দশমিক ৪ বিলিয়ন বিসিএফ। আর জ্বালানি বিভাগের হাইড্রোকার্বন ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ডিসেম্বরের মধ্যেই গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে ৫ হাজার ৭৯৫ দশমিক ২ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়ে গেছে। সে অনুযায়ী, ক্ষেত্রটিতে তিন মাস আগেই গ্যাসের হিসাবকৃত মজুদ ফুরিয়ে আরো অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন ঘনফুট উত্তোলন করা হয়েছে।