সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিনই মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সরকারি সংস্থা বিআরটিএর হিসাবেই এবারের ঈদযাত্রায় মৃত্যু হয়েছে ৩২০ জনের, যা গত বছরের ঈদযাত্রার চেয়ে ১৯ শতাংশ বেশি। একেকটি মৃত্যু শোকগ্রস্ত করেছে স্বজনদের, অসহায় করেছে পরিবারগুলোকে। ফিটনেসবিহীন যান, লাইসেন্সবিহীন চালক, ক্লান্তি নিয়ে গাড়ি চালানো, অবৈধ যানবাহন—মৃত্যু মানুষের। বাসের ফিটনেস আছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ)। ট্রাকে যাত্রী তোলা ও অতিরিক্ত গতি ঠেকানো এবং তিন চাকার যান মহাসড়কে চলাচল বন্ধ রাখার দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের। সড়ক খানাখন্দমুক্ত রাখার কাজটি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ)। আর চালকের বিশ্রাম নিশ্চিত করার দায়িত্ব মালিকপক্ষের।
সাত দিনের মধ্যে ঘটে যাওয়া তিনটি দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সড়ক দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউটের (এআরআই) সাবেক পরিচালক মো. হাদীউজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, এগুলোকে দুর্ঘটনা বলা হবে কি না, তা এখন ভাবার সময় এসেছে। দুর্ঘটনা বললে দৈব বা প্রকৃতির ওপর দায় চাপানো হয়ে যায়। আসলে দুর্ঘটনা ঘটার সব উপকরণই এ ক্ষেত্রে বিদ্যমান ছিল। তাই এটাকে অবহেলাজনিত হত্যাকাণ্ড বলা হবে কি না, তা নিয়ে ভাবতে হবে। তিনি বলেন, অবহেলায় যাঁরা যাঁরা জড়িত, তাঁদের প্রত্যেকের বিচার হওয়া দরকার। নইলে অনিয়ম ও অবহেলা চলতেই থাকবে।