বৃহস্পতিবার রাতে শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন এ তথ্য দিয়েছেন। স্থানীয়রা জানান, আবদুল আজিজ নামে এক ব্যক্তি শহরের সুলতানগঞ্জপাড়া ঘোনপাড়ায় মৃত আবদুল খালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে একই এলাকার পাতলা মোহাম্মদের ছেলে খোকন, ন্যাংড়া হেলালের ছেলে তারেক, সিহাব, কবির ও উটের মোড়ের পারভেজ ওই বাড়ির সামনে সরু পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। বাড়ির জানালা খোলা থাকায় তার সঙ্গে খোকন ধাক্কা খেয়ে আঘাত পান। এরপর সকলে ক্ষিপ্ত হয়ে আবদুল আজিজের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর ও তার স্ত্রীকে বেদম মারপিট করেন। হামলার শিকার পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহ মো. মেহেদী হাসান হিমুকে জানান। সন্ত্রাসীদের ভয়ে তারা থানায় যেতে সাহস পাননি। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে উপশহর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আবদুর রশিদ ও কনস্টেবল মাহবুব হোসেন সাদা পোশাকে মোটরসাইকেল নিয়ে ওই বাড়িতে আসেন। এ সময় সেখানে খোকন, তারেক ও অন্যরা আশপাশে ছিলেন। পুলিশ সদস্যরা খোকনকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার পকেটে কি আছে তা জানতে চান। তখন খোকন ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটান। এতে তারা দুজনই রক্তাক্ত জখম হন। আশপাশের বাসিন্দারা আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। এছাড়া তাদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।