ছাত্রত্ব শেষেও নেতাদের ‘ম্যানেজ’ করে হলে থাকেন অনেকে। কে হলে উঠতে পারবেন, কোন কক্ষে কে থাকবেন—ঠিক করে দেয় ছাত্রলীগ। এ ক্ষেত্রে হল প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হলে মোট কক্ষ আছে ১০৪টি। দুটি কক্ষ বাদে সব কটিতে শয্যা আছে চারটি করে। বাকি দুটিতে একটি করে শয্যা। সে হিসাবে এই হলে মূলত আবাসনসুবিধা আছে ৪১০ জন ছাত্রের। বাস্তবে সেখানে থাকছেন প্রায় ৯০০ জন। হল প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হলটিতে প্রায় ২০০ জন আছেন, যাঁদের পড়ালেখা ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে। অন্যদিকে ‘গণরুম’গুলোতে গাদাগাদি করে থাকছেন প্রথম বর্ষের শেষের দিকে থাকা ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে প্রথম বর্ষের নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। তাঁরা হলে ওঠা শুরু করলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
এই হলের কোন কক্ষে কে থাকবেন, কে হলে উঠতে পারবেন, কে পারবেন না—এসব নির্ধারণ করে দেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের নেতারা। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল প্রশাসনের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।