বিএনপিসহ অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক দল উপজেলা নির্বাচন বর্জন করায় স্থানীয় এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চতুর্মুখী কোন্দলের আশঙ্কা করছে আওয়ামী লীগ। ৭ জানুয়ারির ‘ডামি প্রার্থী’ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মধ্যেই লড়াই এবং সংঘাত সংঘর্ষ হতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আলামত ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থীকে সমর্থন না দেওয়া এবং কাউকে দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে অনেক তৃণমূল ও কেন্দ্রীয় নেতা তাদের পছন্দের প্রার্থীর পেছনে ঝুঁকছেন। বিশেষ করে শতাধিক মন্ত্রী-এমপি আত্মীয়-স্বজন ও নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার কৌশল গ্রহণ করেছেন।
বিএনপি নির্বাচনের বাইরে থাকায় মূলত আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা, বর্তমান মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, পরাজিত সংসদ সদস্য প্রার্থী এবং জানুয়ারির নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও ডামি প্রার্থী হয়ে জয়ীরা স্থানীয় নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দ্ব›েদ্বর লড়াইয়ে নেমে গেছেন। পরিস্থিতি বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনদের উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের নির্দেশনা দিয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত তিনি সপ্তাহে কয়েক দফায় সংবাদ সম্মেলন করে মন্ত্রী-এমপির আত্মীয়-স্বজনদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের আহŸান জানিয়ে বলেছেন, মন্ত্রী-এমপিদের যাদের আত্মীয়-স্বজন উপজেলা নির্বাচন থেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবে না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকাল প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে নিজেদের মধ্যে সংঘাত-সংঘর্ষের আশঙ্কা করছি।