গত দুই দশকের বেশি সময় (২০০১-০২ থেকে ২০২১-২২ অর্থবছর পর্যন্ত) অধিকাংশ অর্থবছরেই আর্থিক হিসাবের (ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্ট) উদ্বৃত্ত ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। যদিও গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) দেশের ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টে দেখা গেছে বড় অংকের ঘাটতি, যা চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) আরো স্ফীত হয়েছে। এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখছে ট্রেড ক্রেডিটের নিট ঘাটতি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মূলত রফতানির বড় অংকের অর্থ অপ্রত্যাবাসিত থেকে যাওয়ার কারণেই ট্রেড ক্রেডিটের ঘাটতি বাড়ছে, যা প্রকারান্তরে আর্থিক হিসাবের ঘাটতিকেও বাড়িয়ে তুলছে। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) আসন্ন রিভিউ মিশন চলাকালে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে ছাপিয়ে আলোচনার মূল ইস্যু হয়ে উঠতে পারে রফতানিতে বড় অংকের অপ্রত্যাবাসিত অর্থ। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক সম্প্রতি এ বিষয়ে বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নানামুখী উদ্যোগের কারণে চলতি হিসাব ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। বিওপির ঘাটতিও কমে এসেছে। তবে এখনো ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকাউন্টের ঘাটতি কমানো সম্ভব হয়নি। এ ঘাটতি কমানোর জন্যও বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ডলারের বাজার স্থিতিশীল হয়ে এসেছে। আশা করছি, দ্রুতই পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।’