বৈশাখের শুরুতে দেশে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। ৫১ জেলায় চলছে প্রচণ্ড দাবদাহ। ইতোমধ্যেই হিট স্টোকে বিভিন্ন জেলায় ১০ জন মারা গেছেন। ভ্যাপসা গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিংয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষের ত্রাহি দশা। দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে সারাদেশের জনজীবন। সেচের অভাবে ধানক্ষেত শুকিয়ে যাচ্ছে, আমের মুকুল ঝড়ে যাচ্ছে, বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে কৃষিজাতপণ্য উৎপাদন। বিদ্যুতের আসা-যাওয়ায় কলকারখানায় উৎপাদন কমে গেছে, কোলরেস্টরেজে পঁচে যাচ্ছে কৃষিপণ্য। ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফ্যান না চলায় তাপপ্রবাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে শহরকেন্দ্রীক মানুষের জীবন। জানতে চাইলে বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) কার্যকরী কমিটির নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম ইনকিলাবকে বলেন, লোডশেডিংয়ের ফলে উৎপাদন বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জেনারেটর চালিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। লোডশেডিংয়ের কারণে সময় মতো উৎপাদন না হওয়ায় শিপমেন্ট শিডিউল ফেল করার কারণে বায়ারদের কাছে এখন আমাকে দেন দরবারে যেতে হচ্ছে। এ সংকট দীর্ঘমেয়াদি হলে আমরা বায়ারদের কাছে যে কমিটমেন্ট করেছিলাম সেটি ফেল করবো। তাতে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।