ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার আমির উদ্দিনের ছেলে সোহেল তানভীর (২১) ঢাকা এসেছিলেন মালয়েশিয়া যাওয়ার উদ্দেশ্যে। সে দেশের শ্রমবাজার বন্ধ হওয়ার শেষ দিনে তার ফ্লাইট ছিল। কিন্তু এজেন্সি জানায়, তার ফ্লাইট পিছিয়েছে। মনঃকষ্ট নিয়ে আন্তনগর উপকূল ট্রেনে বাবা-ছেলে বাড়ি ফিরছিলেন একসঙ্গেই। ট্রেন কিশোরগঞ্জের ভৈরববাজার জংশনে বিরতি দেওয়ার পর সিট থেকে উঠে দরজায় দাঁড়ান সোহেল। একটু পরই ট্রেনটি মেঘনা রেলসেতু অতিক্রমের সময় তাকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা যায় নদীতে। অনেক খুঁজে দুই দিনেও নদীতে পাওয়া যায়নি তার লাশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মানসিক যন্ত্রণায় আত্মহত্যার চেষ্টা করে থাকতে পারেন সোহেল। সোহেলের বাবা আমির উদ্দিন মেরাজ বলেন, ‘এমন দুঃখজনক ঘটনা আমার জীবনে ঘটবে কখনো ভাবতে পারিনি। সংসারের সুখের জন্য একমাত্র ছেলেকে মালয়েশিয়া পাঠানোর ব্যবস্থা করেছিলাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এখন ছেলেকেই হারালাম।’ জানা যায়, ভিসা পাওয়ার পরও প্রায় ৩০ হাজার বাংলাদেশি মালয়েশিয়া যেতে না পেরে হতাশ। ইতোমধ্যে জমি বিক্রি, ঋণ করে জনপ্রতি ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা বিভিন্ন দালালের হাতে তুলে দেওয়া এসব পরিবার এখন দিশাহারা।