উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব, বড় বিপদের কারণ হতে যাচ্ছে আবহাওয়া ~কালবেলা

উষ্ণতা বৃদ্ধির প্রভাব, বড় বিপদের কারণ হতে যাচ্ছে আবহাওয়া

তীব্র তাপদাহের এমন পরিস্থিতিতে মানুষের কর্মক্ষমতা কমে যাচ্ছে। কৃষিতে পড়ছে নেতিবাচক প্রভাব। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুজ্জামান মিলন বলেন, ‘উষ্ণ আবহাওয়ায় ভবিষ্যতে অস্বস্তি আরও বাড়বে। তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রির ওপরে গেলে যে ধান পরাগায়ন পর্যায়ে ফুল এসেছে, সে ধানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চিটা হয়ে যাবে। তবে এ বছর বেশিরভাগ ধানের ওই অবস্থা পার হয়েছে। কিছু কিছু অঞ্চলে যারা দেরিতে চাষ করেছেন, এ অবস্থায় তাদের ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। গত বছরও এ ক্ষতি হয়েছিল। ২০২১ সালে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সেবার অনেক কৃষকের ধান পুড়ে গিয়েছিল। এ বছর আমাদের পরামর্শ ছিল, তাপপ্রবাহের কারণে কিছু ধানক্ষেতে পানি রাখার। এ কারণে কৃষকের সেচের খরচ বেড়ে যাবে।’

অতিরিক্ত তাপপ্রবাহের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিও বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, রিকশাচালক ও দিনমজুররা সবচেয়ে ঝুঁকিতে আছেন। হিটস্ট্রোকসহ নানা ধরনের প্রাণঘাতী সমস্যা হতে পারে তাদের।

তীব্র গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নির্দেশনাগুলো হলো, তীব্র গরম থেকে দূরে থাকা, মাঝে মাঝে ছায়ায় বিশ্রাম নেওয়া, প্রচুর পরিমাণে নিরাপদ পানি পান করা, হেপাটাইটিস এ, ই, ডায়রিয়াসহ প্রাণঘাতী পানিবাহিত রোগ থেকে বাঁচতে রাস্তায় তৈরি পানীয় ও খাবার এড়িয়ে চলা, প্রয়োজনে একাধিকবার গোসল করা এবং ঢিলেঢালা পাতলা ও হালকা রঙের পোশাক পরা। অধিদপ্তরের পরামর্শ, গরমে কারও ঘাম বন্ধ হয়ে গেলে, বমি বমি ভাব, তীব্র মাথাব্যথা, শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাব কমে যাওয়া, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হওয়া, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হওয়ার মতো কোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুততার সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন